Constitution
গঠনতন্ত্র
মহান সৃষ্টিকর্তার নামে আরম্ভ করছি।
ভূমিকা : আমাদের চারপাশে অসংখ্য আর্ত নিপীড়িত সাহায্য প্রত্যাশী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জীবনে গঠনমূলক পরিবর্তন ঘটাবার ও আত্মনির্ভরশীল করবার উদ্দেশ্য কে সামনে নিয়ে ” এডুকেশন এন্ড সলিডারিটি অরগানাইজেশন” এর সূচনা।
ধারা – ১
প্রতিষ্ঠানের নাম : “এডুকেশন এন্ড সলিডারিটি অরগানাইজেশন”
ESO : EDUCATION and SOLIDARITY ORGANIZATION (এসো)
(A Social Welfare Organization)
ধারা – ২
ঠিকানা : এ-৬৬০ খিলগাঁও
পোস্ট অফিস-খিলগাঁও
কোড নং-১২১৯
থানা – খিলগাঁও
জেলা – ঢাকা।
ধারা – ৩
সংস্হার কার্যক্রমের আওতাভুক্ত এলাকা :
বর্তমানে ঢাকা জেলাধীন।পরবর্তীতে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে কার্য এলাকা সমস্ত বাংলাদেশ ব্যাপী সম্প্রসারণ করা যাবে।
ধারা – ৪
প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :
কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমেই এই ধারার (ক) হতে (ন) পর্যন্ত যে কোনো প্রকল্প/কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে।
ক) এটি একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক, অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী, সংস্কৃতমনা, সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হবে।
খ) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে সবার জন্য শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার্থে শিশু শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষা, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও কারিগরী শিক্ষা কার্যক্রম।
গ) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে শিশুদের টিকাদান, শিশু চিকিৎসা, শিশু খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম।
ঘ) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে এতিম ও অসহায় শিশুদের পূণর্বাসন ও শিশুশ্রম রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সামাজিক আন্দোলন মুখী কার্যক্রম।
ঙ) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে বেকার ও অসহায় যুবক ও মহিলাদের কে সেলাই, এমব্রয়ডারি, দর্জি বিজ্ঞান, উল বুনন, বাটিক, টাই-ডাই, পশুপালন, বৃক্ষ রোপণ, ড্রাইভিং, অটোমোবাইল, পেইন্টিং, গ্যাস ওয়েল্ডিং, ডেটিং ইত্যাদি কারিগরী প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন প্রকার হস্ত কুটির শিল্প যেমন:-মোম, ক্রিস্টাল, বাঁশ-বেত, চামড়া ও পাটজাত দ্রব্য সামগ্রীর কাজ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করে বেকার ও অসহায়দের সমস্যা সমাধান করা
চ) সন্ত্রাস, মাদক ও ধুমপান মুক্ত সমাজ গঠনে করণীয় কার্যক্রম।
ছ) যুব শক্তিকে সমাজ, দেশ ও জাতীয় কল্যাণে আত্মোৎসর্গ করার মানসিকতা তৈরি করার লক্ষ্যে এবং সাবলম্বী করার লক্ষ্যে আত্মকর্মসংস্থান মূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা।
জ) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের পূণর্বাসন ও চিকিৎসা কার্যক্রম।
ঝ) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির ব্যাপক কার্যকারিতা ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ঞ) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে প্রজনন ও গর্ভকালীন চিকিৎসা ও নিরাপদ প্রসবে ব্যবস্থা গ্রহণ।
ট) সকলের প্রতি বিশ্বাস, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনের মাধ্যমে পারষ্পরিক সম্প্রীতি গড়ে তোলা।
ঠ) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে জনগনের নাগরিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও নৈতিক উন্নতি বিধান কল্পে বর্ণ, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক মূলক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, শিক্ষা সফর, শুভেচ্ছা সফর ও ভাবের আদান প্রদানের মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞান ভান্ডার কে সমৃদ্ধ করার কার্যক্রম।
ড) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে জনগণের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান ও দূর্যোগ কালীন সময়ে সবার জন্য চিকিৎসা কার্যক্রম।
ঢ) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে সকল প্রকার চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রসারতা উদ্ধৃত করণ ও দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ ও ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা, রিফ্রের্সাস প্রোগ্রাম গ্রহণ।
ণ) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে শিল্প প্রতিষ্ঠানের উপযোগী দক্ষ কর্মী গঠন কার্যক্রম।
ত) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে চিত্ত বিনোদনের জন্য ব্যায়ামাগার স্হাপন, শিল্পকলা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, পাঠাগার স্থাপন, খেলাধুলা আয়োজন ও বিভিন্ন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন কার্যক্রম।
থ) জনগনকে নাগরিক অধিকার ও তার দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন করে তোলা ও উন্নত সমাজ, দেশ ও জাতি গঠনে মানুষের কল্যাণে অবদান রাখা।
দ) মামলা পরিচালনায় অক্ষম ব্যক্তিদের আইনগত সহায়তা দান এবং কারামুক্ত কয়েদিদের কল্যাণ ও পূণর্বাসন কার্যক্রম।
ধ) কিশোর অপরাধীদের কল্যাণে ও পূনর্বাসনে ব্যাপক কার্যক্রম।
ন) প্রাকৃতিক দুর্যোগ যথা – বন্যা, ভূমিকম্প, খরা, শীত, জলোচ্ছ্বাস, মহামারী ও জাতীয় দূর্যোগ কালীন সময়ে ত্রাণ ও পূণর্বাসন কার্যক্রম।
প) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে বৃদ্ধ ও দৈহিক অক্ষম ব্যক্তিদের পূণর্বাসন কার্যক্রম।
ফ) ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে শেষকৃত্যানুষ্ঠানে সহায়তা কার্যক্রম।
ব) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে নারী নির্যাতন রোধ মূলক কার্যক্রম।
ভ) সংকটকালীন সময়ে অর্থনৈতিক সহায়তা কার্যক্রম।
ম) স্বাবলম্বী হতে অর্থনৈতিক বা বস্তমানের সহায়তা কার্যক্রম।
য) আত্মনির্ভরশীল করবার প্রয়াসে পর্যবেক্ষণ নির্ভর, সুদমুক্ত ঋণদান কার্যক্রম।
র) পরিবেশ রক্ষায় ব্যাপক গণসচেতনতা গঠন, বৃক্ষরোপণ, বনায়ন, বর্জ্য নিস্কাশন, শব্দদূষণ রোধ মূলক কার্যক্রম।
ল) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে হাঁস- মুরগি, গবাদি পশুপালন, মৎস চাষ ও কৃষি উন্নয়ন প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম।
শ) সামাজিক ব্যাপক কোনো সমস্যা সমাধানকল্পে কল্যাণমূলক সংস্থা গুলোর মধ্যে সমন্বয় কার্যক্রম।
ষ) বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে, বিশেষ দক্ষতায় সামাজিক কোনো কাজে উল্লেখযোগ্য অবদানকারী ব্যাক্তির, প্রতিষ্ঠানের প্রতি সম্মান/প্রেরণামূলক কার্যক্রম।
স) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে অসহায়দের সহায়তাকল্পে একটি পূর্ণাঙ্গ বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করা।
হ) ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে স্ব-স্ব ধর্মীয় ব্যবস্থা কার্যক্রম।
ড়) ছিন্নমূল, বস্তিবাসী, ভূমিহীন মানুষদের কল্যাণে কার্যক্রম।
ঢ়) বিশুদ্ধ পানীয়- জলের ব্যবস্থা গ্রহণ কার্যক্রম।
য়) রক্তদান কর্মসূচি ও স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন ক্রমে মানসিক রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম।
ধারা ৫ (ক)ঃ
সদস্য পদ লাভঃ
১. স্বেচ্ছাশ্রম ও সমাজ সেবায় আত্মনিবেদনের / নিয়োগের মানসিকতা সম্পন্ন ও প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক তহবিল গঠনে শর্ত ও স্বার্থহীন সহযোগিতা করতে আগ্রহী এবং গঠনতন্ত্র মেনে চলতে অঙ্গীকারবদ্ধ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ সদস্য হিসেবে আবেদন করার যোগ্য।
২. ২০০৳ ( দুই শত) মূল্যায়নের ( অফেরতযোগ্য) নির্ধারিত আবেদন পত্রে সভাপতি বরাবর আবেদন করতে হবে।
৩. কার্যকরী পরিষদের সভায় গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী সদস্যপদের আবেদন পত্র মন্জুর / খারিজ হবে।
৪. আবেদন পত্র মন্জুর হলে ৳২০০ ( দুই শত টাকা) নিবন্ধন ফি এবং ৳৫০০ ( পাঁচ শত টাকা) হারে মাসিক চাঁদা হিসাবে প্রদান সাপেক্ষে সদস্য খাতায় নাম লিপিবদ্ধ করতে হবে।
ধারা ৫ (খ)ঃ
সদস্যদের ধরনঃ
১. প্রতিষ্ঠাতা সদস্যঃ ভারতেশ্বরী হোমসের এসএসসি ১৯৯৪/ এইচএসসি ১৯৯৬ এর সকল ছাত্রী প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বলে গণ্য হবেন।
২. সাধারণ সদস্যঃ ধারা ৫ (ক) অনুযায়ী সকল সদস্যবৃন্দই সাধারণ সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন।
৩. আজীবন সদস্যঃ যে কোন সুস্থ মষ্তিষ্কের ব্যাক্তি সজ্ঞানে এককালীন ৳১,০০,০০০ (এক লক্ষ টাকা) মাত্র দান করে আজীবন সদস্যপদ লাভ করতে পারবেন।
৪. স্বেচ্ছাসেবী সদস্যঃ কার্যকরী পরিষদ দ্বারা নির্বাচিত ধারা ৫ (ক) এর ১ অনুযায়ী নূন্যতম ৳১০০ মাসিক চাঁদা প্রদান সাপেক্ষে সক্রিয় ও একনিষ্ঠ ব্যক্তিকে গণ্য করা হবে।
৫. দাতা সদস্যঃ এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বাস্তবায়নে যে সকল ব্যক্তি কোন অর্থ বা সম্পদ নিঃস্বার্থভাবে দান করবেন তারা দাতা সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন।
৬. সম্মাননা সদস্যঃ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বাস্তবায়নে যে সকল ব্যক্তি বুদ্ধি/ পরামর্শ/ কাজ দিয়ে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবেন।
ধারা ৬ (ক)
সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত / বাতিল হতে পারেঃ
১. সদস্যপদ প্রাপ্তির পর ৬( ছয়) মাস চাঁদা না দিলে।
২. পর পর ৩ (তিন) টি সভায় উপস্থিত না থাকলে।
৩. প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের পরিপন্থী কোন কাজ করলে, প্রতিষ্ঠানকে হেয় প্রতিপন্ন করলে, প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা বললে বা দুর্নীতি করলে। ( শুন্য সহিষ্ণুতা)
৪. সংস্থায় চাকুরী, বেতনভাতা বা সম্মানী গ্রহন করলে।
৫. মস্তিষ্ক বিকৃতি হলে।
৬. আদালত কর্তৃক সাজা প্রাপ্ত হলে ও দেউলিয়া হলে।
৭. সদস্যের মৃত্যু হলে বা সদস্যপদ প্রত্যাহার করলে।
“এসো” ধারা ৬ (ক) এর ৩ এর সাপেক্ষে শুন্য সহিষ্ণু মনোভাব পোষণ করে।
ধারা – ৬(খ)
সদস্যপদ পুনরুদ্ধারের নিয়ম :
১) ধারা ৬(ক) –১.২ উল্লেখিত কারণে কোনো সদস্যের পদ বাতিল হলে ধারা–৫(ক) অনুযায়ী তাকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২) ধারা ৬(ক) –৩,৪,৫ এর ক্ষেত্রে সদস্যপদ বাতিল হলে ধারা ৫(ক) অনুযায়ী তাকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তবে আবেদনপত্রের সাথে সদস্যপদ বাতিলের কারণ ঘটনার পুণরাবৃত্তি না ঘটবার অঙ্গীকারনামা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা নথিপত্র পেশ করতে হবে। এ রকম ক্ষেত্রে সভাপতি, কার্যকরী পরিষদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
৩) এছাড়া অন্যান্য কারণে সদস্যপদ বাতিল হলে পুনরুদ্ধারের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
ধারা – ৭
প্রতিষ্ঠানের শাখা :
প্রয়োজনবোধে কার্যক্রমের ভিত্তিতে সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এবং নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে দেশের যে কোনো এলাকায় শাখা খোলা যাবে।
(ক) শাখা কমিটির গঠন ও কাঠামো :
প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এবং নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে যে এলাকায় শাখা খোলা হবে , শাখা সদস্যদের সে এলাকাবাসী হতে হবে। সদস্যপদ লাভের জন্য ধারা-৫(ক) ই বলবৎ থাকবে। তবে এক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সাথে তাদের শাখা ও এলাকার নাম উল্লেখ করতে হবে। শাখা পরিষদ – শাখা সভাপতি, শাখা সাধারণ সম্পাদক, শাখা কোষাধ্যক্ষ এবং দুই সদস্য সমন্বয়ে মোট ৫(পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট হবে। শাখা পরিষদটি শাখা সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত ও নিয়ন্ত্রিত হবে।
(খ) শাখাসমূহের দায়িত্ব, কর্তব্য ও সুবিধাসমূহ :
কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক গৃহীত কার্যাদি শাখা পরিষদ বাস্তবায়ন করবে। শাখা পরিষদ তাদের সকল কাজের জন্য শাখা সাধারণ পরিষদ এবং কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ এর নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ এর অনুমোদন ছাড়া শাখা পরিষদ অতিরিক্ত কোনো কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে না।
(গ) শাখা পরিষদের কার্যক্রম স্হগিতকরণ :
কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে কোনো সময় শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা যাবে। এ ব্যাপারে শাখা পরিষদের কোনো প্রকার আপত্তি করা চলবে না বা কোনো প্রকার দায়িত্ব থাকবে না। কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ কোনো শাখার কার্যক্রম স্হগিতকরণে উক্ত শাখার স্হগিতকরণের কারণ উল্লেখ করে ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষ কে অবহিত করতে বাধ্য থাকবে।
(ঘ) কেন্দ্রীয় অফিস কর্তৃক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি :
শাখাসমূহের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ প্রদত্ত কার্যক্রমসমূহ কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক বরাদ্দকৃত বাজেট অনুযায়ী সম্পন্ন করতে শাখা পরিষদ বাধ্য থাকবে।
(ঙ)
শাখা পরিষদের শাখা সভাপতি, শাখা সাধারণ সম্পাদক এবং শাখা কোষাধ্যক্ষ পদাধিকারবলে কেন্দ্রীয় সাধারণ পরিষদের সদস্য বলে বিবেচিত হবে।
ধারা – ৮ (ক)
সাংগঠনিক কাঠামো:
প্রতিষ্ঠানের সাংগঠনিক কাঠামো, বিভিন্ন পরিষদ এবং পরিষদ সদস্যদের পদবী উল্লেখসহ বিস্তারিত দায়িত্ব, কর্তব্য ও কার্যক্রম।
সাংগঠনিক কাঠামোগুলোর নাম:
(১) সাধারণ পরিষদ, (২) কার্যকরী পরিষদ, (৩) উপদেষ্টা পরিষদ।
বিবরণ :
(১) সাধারণ পরিষদ—
সদস্য সংখ্যা : ধারা–৫(ক) অনুযায়ী সকল সদস্যই অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের সকল সাধারণ সদস্য/সদস্যা নিয়ে সাধারণ পরিষদ গঠিত। তবে এর কোনো উর্ধ্বসীমা থাকবে না।
কাজ, দায়িত্ব ও ক্ষমতা : সাধারণ পরিষদ ই প্রতিষ্ঠানের প্রাণ ও চালিকাশক্তি। সঠিক ও উপযুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে এই পরিষদের ভূমিকা অপরিসীম। সাংগঠনিক প্রয়োজনে, সংকটকালীন অবস্থায় যে কোনো জরুরি সিদ্ধান্ত নিবার ক্ষমতা এই পরিষদের আছে।
(২) কার্যকরী পরিষদ :
সাধারণ পরিষদ দুই বছরের জন্য ১৩(তের) সদস্যবিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদ নির্বাচিত করবেন। ১৩(তের) সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদ নিম্নলিখিত পদ নির্ধারণ করবেন।
সভাপতি ১জন
সহ-সভাপতি ১জন
সাধারণ সম্পাদক ১জন
সহ-সাধারণ সম্পাদক ১জন
কোষাধ্যক্ষ ১জন
নির্বাহী সদস্য ৮জন
————————————————————–
মোট= ১৩জন
কার্যকরী পরিষদের কাজ, দায়িত্ব ও ক্ষমতা:
১) সংস্থার প্রয়োজনীয় খরচের অনুমোদন করা।
২) বিশেষ কার্যসম্পাদনে উপ-কমিটি গঠন করা।
৩) সভা করার দিন, তারিখ, সময়, স্থান এবং এজেন্ডা নির্ধারণ করা।
৪) সংস্থার সকল হিসাব নিকাশ, খরচের ভাউচার, ক্যাশ বই সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করা।
৫) নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদনক্রমে কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ করা।
৬) সংস্থার প্রশাসনিক, আর্থিক ও পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ন্ত্রণ করা।
৭) সকল প্রশাসনিক ব্যবস্হাপনা পরিচালনা, প্রকল্প গ্রহণ, বাস্তবায়ন এবং কর্মচারীদের দায়িত্ব নির্ধারণ করা।
৮) ধারা ৬(ক)অনুযায়ী কোনো সদস্য/সদস্যার সদস্যপদ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করা।
পদ ভিত্তিক কাজ, দায়িত্ব ও ক্ষমতা :
সভাপতি :
১) সকল সভা পরিচালনায় সভাপতিত্ব করবেন।
২) সভা পরিচালনার কাজে তার পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে এবং তিনি কার্যকরী পরিষদ এর সদস্য/সদস্যা দের মতামতের ভিত্তিতে সংস্হার নিয়মাবলী নির্ধারণ করবেন।
৩) কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিনি অন্যান্য বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবেন।
৪) সকল প্রকার যোগাযোগ, চিঠিপত্র লেখা ও আদানপ্রদানের কাজ তদারকি করবেন।
৫) সুষ্ঠু প্রশাসন ব্যবস্থার স্বার্থে গঠনতন্ত্র অনুসরণ পূর্বক প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মচারীদের নিয়োগ করতে পারবেন এবং কার্যকরী পরিষদ এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক কর্মচ্যুতী ও কর্মচারীদের ছাঁটাইয়ের চুড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী হবেন। তবে সকল ব্যবস্থার পূর্বে কার্যকরী পরিষদ এর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
৬) ব্যাংক হিসাব পরিচালনায় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ এই ৩(তিন) জনের যে কোনো ২(দুই) জনের যৌথ স্বাক্ষরে হিসাব পরিচালিত হবে।
সহ-সভাপতি :
১) সভাপতির সকল কাজে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন।
২) সভাপতির অনুপস্থিতিতে তাঁর সকল দায়িত্ব পালন করবেন।
সাধারণ সম্পাদক :
১) অবৈতনিক অফিস ইনচার্জ হবেন।
২) প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম কর্মসূচি প্রণয়ন ও প্রকল্প প্রস্তাবনা এবং বাস্তবায়নে কার্যকরী পরিষদ এর মধ্যে সমন্বয় সাধন করবেন।
৩) সকল প্রকার বিল, ভাউচার, লেনদেন কাগজপত্র পরীক্ষা করে নিজে অনুমোদনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সমীপে পেশ করবেন।
৪) সকল ধরনের সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ রাখার ব্যবস্থা করবেন।
৫) সকল ধরনের সভা আহবানের দিন, তারিখ, সময় স্থান ও এজেন্ডা উল্লেখ করে নোটিশ বিতরণের ব্যবস্থা করবেন।
৬) কোষাধ্যক্ষ কর্তৃক মাসিক, ত্রৈমাসিক, বার্ষিক জমা-খরচের হিসাব প্রস্তুত করিয়ে নিবেন এবং যথাযথ সভায় অনুমোদন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবার ব্যবস্থা নিবেন।
৭) সাধারণ সম্পাদক-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ এর সাথে ব্যাংক লেনদেনে যৌথ স্বাক্ষর দাতা হবেন।
৮) কার্যকরী পরিষদ কর্তৃক ন্যস্ত যে কোনো কর্তব্য পালনসহ সাংগঠনিক কর্তব্য পালন করবেন।
৯) প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নে সর্বদা সকল কার্যকরী সদস্যদের সাথে যোগাযোগ আলোচনা এবং পরামর্শ বজায় রাখবেন।
১০) প্রশাসন প্রকল্প তৈরি, বাজেট তৈরি, কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নে সহায়তা করবেন
সহ-সাধারণ সম্পাদক :
সহ-সাধারণ সম্পাদক – সাধারণ সম্পাদক কে তার যাবতীয় কার্য সম্পাদনে প্রত্যক্ষ সহায়তা করবেন এবং সাধারণ সম্পাদকের অবর্তমানে তিনি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন।
কোষাধ্যক্ষ:
১) সংস্থার সকল আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করবেন।
২) সকল প্রকার সদস্য চাঁদা ও বিশেষ চাঁদা, অনুদান, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাহায্য-প্রতিষ্ঠানের ছাপানো রশিদের মাধ্যমে গ্রহণ করবেন এবং সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর নিকট হিসাব বুঝিয়ে প্রতিষ্ঠানের একাউন্টে জমা রাখবেন।
৩) জরুরি খরচের জন্য সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের জ্ঞাতানুসারে ২,০০০(দুই হাজার) টাকা পর্যন্ত হাতে রাখতে পারবেন।
৪) সাধারণ পরিষদের সভায় রিপোর্ট পেশ করবেন।
৫) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে ব্যাংক লেনদেন যৌথ স্বাক্ষর দাতা হবেন।
৬) তিনি তার কাজের জন্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক তথা কার্যকরী পরিষদের নিকট দায়বদ্ধ থাকবেন।
কার্যকরী পরিষদের সদস্য :
কার্যকরী পরিষদের সদস্যবৃন্দ প্রতিষ্ঠানের সকল নির্বাহী সভায় উপস্থিত থাকবেন এবং প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম গতিশীল ও বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ:
১) কার্যকরী পরিষদ কমপক্ষে ৩(তিন) সদস্যবিশিষ্ট এক বা একাধিক বিষয় বা শ্রেণীভিত্তিক দক্ষ ব্যক্তিবর্গ বা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করতে পারবেন। যাতে প্রতিষ্ঠানের যে কোনো লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা যায়।
২) কার্যকরী পরিষদ প্রয়োজনে এমন কোনো বা সকল উপদেষ্টা পরিষদের মেয়াদকাল, দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারিত কার্যক্রমের মেয়াদ শেষে বিলোপ করতে পারবেন।
ধারা – ৮(খ)
নির্বাচনী নীতিমালা :
১) প্রতি ২(দুই) বছর অন্তর অন্তর সংগঠনের সাধারণ নির্বাচন তথা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২) নির্বাচন কোনো পদের বিপরীতে হবে না। “কার্যকরী পরিষদ সদস্য” এই নামে নির্বাচন হবে। নির্ধারিত মূল্যে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করতে হবে।
৩)নিয়মিত মাসিক চাঁদা পরিশোধ কারী এবং ১৮(আঠারো) বছরের অধিক সুস্থ ব্যক্তি যিনি গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কোনো কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন না এবং যার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিয়মিত, তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
৪) কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ শেষ হবার ৯০(নব্বই) দিন পূর্বে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না এমন ৫(পাঁচ) সদস্যবিশিষ্ট একটি নির্বাচন পরিষদ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গঠিত হবে যাতে একজন নির্বাচন কমিশনার ও চারজন সদস্য থাকবেন।
৫) নির্বাচন পরিষদ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করার ১(এক) মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করবেন।তফসিল ঘোষণার দিন নির্বাচন পরিষদ ভোটার তালিকা সংগঠনের বোর্ড টাঙ্গাবেন।
৬) ভোটার লিস্টে কোনো সদস্যের নাম তালিকাভূক্ত না থাকলে তা আবেদনের মাধ্যমে নোটিশ প্রকাশের ৭(সাত) দিনের মধ্যে সংশোধন করা যাবে।
৭) ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের ৩০(ত্রিশ) দিন পূর্বে কার্যকরী পরিষদ ভেঙে দিতে হবে।
৮) নির্বাচন অনুষ্ঠানের ২০(বিশ) দিন পূর্বে একজন সদস্য প্রার্থী হতে পারবেন। ১৫(পনেরো) দিন পূর্বে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করতে পারবেন। ১২(বারো) দিন পূর্বে বাছাই ও ১০(দশ) দিন পূর্বে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রদান করতে হবে। নির্বাচনের ২৪(চব্বিশ) ঘন্টা পূর্বে সকল প্রচারণা বন্ধ থাকবে।
৯) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক প্রার্থীগণ নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী নির্ধারিত ফি’ সহ (অফেরতযোগ্য) মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও দাখিল করবেন।
১০) একজন ভোটার ১(এক) ভোট প্রদান করতে পারবেন। প্রতিনিধির মাধ্যমে ভোট দেয়া যাবে না।
১১) নির্বাচন পরিষদ এর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
১২) ভোটগ্রহণ এবং ফলাফল শেষে ৭২(বাহাত্তর) ঘন্টার মধ্যে নির্বাচন পরিষদ নব নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। এরপর নব নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের কার্যক্রম শুরু করবেন।
ধারা – ৯
বিভিন্ন সভা আহবানের নিয়মাবলীঃ
ধারা – ৯(ক)
সাধারণ পরিষদ সভা :
সাধারণ পরিষদ সভা প্রতি ১(এক) বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হবে। এই সভার জন্য কমপক্ষে ১৫(পনের) দিনের নোটিশ প্রয়োজন।
ধারা – ৯(খ)
কার্যকরী পরিষদ সভা :
কার্যকরী পরিষদ সভা কমপক্ষে ১২(বারো) টি হতে হবে। ৭(সাত) দিন পূর্বে তারিখ, সময়, স্হান ও এজেন্ডা সহ নোটিশ প্রদান করতে হবে।
ধারা – ৯(গ)
জরুরি সভা:
১) সাধারণ পরিষদের জরুরি সভা ৭(সাত) দিনের নোটিশে অনুষ্ঠিত হবে।
২) কার্যকরী পরিষদের জরুরি সভা ৩(তিন) দিনের নোটিশে আহবান করা যাবে।
ধারা – ৯(ঘ)
তলবী সভা :
১) কমপক্ষে মোট সদস্যের ২/৩( দুই/ তৃতীয়াংশের) সদস্য সাধারণ সভার কর্মসূচি বা উদ্দেশ্য ব্যক্ত করে স্বাক্ষর দান করতঃ তলবী সভার আবেদন সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের কাছে জমা দিতে পারবেন।
২) সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক তলবী সভার আবেদন প্রাপ্তির ২১(একুশ) দিনের মধ্যে তলবী সভা আহবান না করলে তলবী সদস্যবৃন্দ নোটিশ জমার ২২(বাইশ) দিন পরে ১৫(পনের) দিনের নোটিশে সভা আহবান করতে পারবেন। তবে তলবী সভা সংস্হার অফিসে ডাকতে হবে।
ধারা – ৯(ঙ)
মুলতবী সভা:
১) সাধারণ সভার নির্ধারিত সময়ের সর্বোচ্চ ৩০(ত্রিশ) মিনিট বিলম্বে সভা করা যাবে অন্যথায় সভা স্থগিত করতে হবে।
২) সাধারণ পরিষদ সভা কোরামের অভাবে স্থগিত করলে ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে পরবর্তী সভার নোটিশ প্রদান করা হবে এবং ঐ স্থগিত সাধারণ পরিষদ সভাতে কোরাম না হলে যতজন সদস্য উপস্থিত থাকবেন তাদের নিয়েই সভা অনুষ্ঠিত হবে ও তাদের সিদ্ধান্ত ই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
৩) কার্যকরী পরিষদের সভা ২( দুই) বার কোরামের অভাবে স্থগিত হলে তৃতীয়বার উপস্থিত সদস্যদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।
ধারা – ৯(চ)
কোরাম :
সকল পরিষদ এবং সভার ক্ষেত্রে মোট সদস্যের ২/৩( দুই/তৃতীয়াংশ ) কোরাম হিসেবে গণ্য হবে।
ধারা – ৯(ছ)
সকল সভার সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে।
ধারা – ১০(ক)
আর্থিক ব্যবস্হাপনা :
১) আর্থিক লেনদেন প্রশ্নে সরকার অনুমোদিত এলাকার যে কোনো ব্যাংকে সংস্হার নামে একটি চলতি/সঞ্চয়ী হিসাব খুলতে হবে।
২) হিসাবটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ এই ৩(তিন) জনের যে কোনো ২(দুই) জনের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে।
৩) সংস্হার নামে সংগৃহীত অর্থ কোনো অবস্থাতেই হাতে রাখা যাবেনা। অর্থ প্রাপ্তির সাথে সাথে নগদ অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দিতে হবে। সংস্হার কাজের স্বার্থে সর্বোচ্চ ২,০০০(দুই হাজার) টাকা পর্যন্ত নগদ অর্থ রাখা যাবে।
৪) সংস্থার প্রয়োজনীয় অর্থ খরচের পূর্বে উত্তোলনের জন্য কার্যকরী পরিষদ সভার অনুমোদন নিতে হবে এবং বার্ষিক সাধারণ সভায় সকল খরচ অনুমোদন করতে হবে ও বাজেট পেশ করতে হবে।
৫) সংস্হার দৈনন্দিন কাজ চালাবার জন্য সাধারণ সম্পাদক সর্বোচ্চ ২,০০০(দুই হাজার) টাকা মাত্র ব্যয় অনুমোদন করতে পারবে।
ধারা – ১০(খ)
অডিট: সংস্হার সকল হিসাব নিকাশ নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগকৃত সমাজসেবা অধিদফতরের যে কোনো কর্মকর্তা বা সরকার অনুমোদিত অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করতে হবে। সংস্হার অডিট রিপোর্ট ও বার্ষিক কার্যবিবরণী নিয়মিত ভাবে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করতে হবে
ধারা – ১১(ক)
গঠনতন্ত্র সংশোধন পদ্ধতি:
গঠনতন্ত্রের যে কোনো পরিবর্তন আনতে হলে সংস্হার সাধারণ পরিষদের ২/৩(দুই/তৃতীয়াংশ) সদস্যের অনুমোদনক্রমে সংশোধন করা যাবে তবে উক্ত নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদনের পর কার্যকরী হবে।
ধারা -১১(খ)
কার্যকরী পরিষদের কোনো সিদ্ধান্তের প্রতি বা কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে সাধারণ পরিষদের ২/৩ (দুই/তৃতীয়াংশ) সদস্য অনাস্থা জ্ঞাপন করলে ১৫ দিনের নোটিশে তলবী সভা আহবান পূর্বক উপস্থিত ২/৩( দুই/ তৃতীয়াংশ) সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
ধারা -১২(ক)
তহবিল গঠন:
প্রতিষ্ঠানের তহবিল বৃদ্ধিকল্পে যে কোনো প্রকার প্রকল্প/কর্মসূচি/অনুষ্ঠান পরিচালনার পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে এবং গৃহীত প্রকল্প কর্মসূচি/অনুষ্ঠান এর আয়-ব্যয়ের হিসাব নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট দাখিল করতে হবে।
ধারা -১২(খ)
তহবিল সংগ্রহ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ক নিয়মাবলী:
১) ব্যক্তি, দেশী-বিদেশী সংস্থাসমূহ, কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান ও ফাউন্ডেশন এবং সরকার হতে তহবিল সংগ্রহ করা যাবে।
২) আর্থিক বছর শেষে তহবিল অর্থ বা জমাকৃত কোনো অর্থই সদস্যদের মধ্যে বন্টন করা যাবে না। শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের আদর্শ ও লক্ষ্য, উদ্দেশ্য অর্জনের ক্ষেত্রে সেবাধর্মী কাজে ব্যয় করা যাবে।
৩) এই তহবিলের অর্থ বিপদের সময়, আসবাবপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদির জন্য ব্যয় করা যাবে। তাছাড়া সংস্হার স্বার্থে বা উন্নয়নে যে কোনো ধরনের কাজে, প্রকৃত খরচ বা সেবার জন্য ব্যয়/দান করা যাবে।
ধারা -১২(গ)
সংস্হার কোনো কার্যক্রম/প্রকল্প বাস্তবায়নে কর্মকর্তা/কর্মচারী নিয়োগের প্রয়োজন হলে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করা হবে।
ধারা -১২(ঘ)
দেশ, সমাজ বা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে যে কোনো সংগঠনের বা বিভাগের স্বার্থে কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তে যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করা যাবে।
ধারা – ১৩
অত্র গঠনতন্ত্রে যা কিছু উল্লেখ থাকুক না কেন উক্ত সংস্থাটির সকল কার্যাদি ১৯৬১ সালের ৪৬ নং অধ্যাদেশের আওতায় এবং দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী পরিচালিত হবে। অন্যান্য কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে কার্যকর হবে।
ধারা -১৪
যদি কোনো সুনির্দিষ্ট কারণে মোট সদস্যের ৩/৫(তিন পঞ্চমাংশ) ভাগ সদস্য সংস্থার বিলুপ্তি চান তবে যথানিয়মে নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষের বরাবর আবেদন করতে হবে। নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষ যে ব্যবস্থা নিবেন তাই কার্যকর হবে।
সমাপ্ত