সংগঠন করিয়া কী হইবে?
সংগঠনের কাজ না করে, উড়ে এসে জুড়ে বসে সংগঠন নিয়ে বা সংগঠনের জন্য কিছু বলাটা দৃষ্টিকটু লাগতে পারে, এই আশঙ্কা মাথায় রেখেই লিখতে বসেছি। প্রথম থেকে এই অব্দি বেশ অক্রিয় ভূমিকায় ধুকে ধুকে কোনরকম ঝুলে আছি মাত্র, তবুও যেহেতু এসো বন্ধুদেরই হাতে গড়া, উপরন্তু আদা-জল খেয়ে উঠে পড়ে যারা এসোর হালে নিরন্তর ঘাম ঝরাচ্ছে, তাঁদের মধ্যে আমার সহোদরা এবং খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু থাকায় কার্যত একাধিক চোখ দিয়ে এসো’কে দেখেছি নিয়ম করেই। সেই অর্থে, অসম্পূর্ণ হলেও, এসো’র এই দশক যাত্রা খুব অচেনা বা অজানা নয়।
কোন একদিন আমিও সক্রিয় একজন সদস্য হয়ে উঠবো কিনা জানিনা। কিন্তু এসো সদা সক্রিয় থাকুক, শক্তপোক্ত একটা স্থায়ী অবস্থানে নিজেকে স্থিত করুক ~ এই চাওয়া টুকু নির্ভেজাল। সেই জোরেই লিখতে বসা।
সাধারণ বোঝাপড়া, সামান্য অভিজ্ঞতা আর পথ-চলায় যতটুকু জানা শোনা হয়েছে সেগুলোকে পুঁজি করে মূলত ভাবতে বসেছিলাম, “সংগঠন করে কী লাভ?” এই তাৎক্ষনিক ভাবনার প্রকাশ নতুন/অভিনব কোন চিন্তার খোরাক দিবে এমনটা আমি মনে করি না, তবে জানা কথার চর্বিত চর্বণও কখনো কখনো নতুন করে উৎসাহ/উদ্দিপনা যোগাতে পারে।
মানুষ এই পার্থিব যাপিত জীবনের একটা ‘অর্থ’ খোঁজে। সে তাঁর জীবদ্দশায় অন্যান্য কাজের (পেশা/প্যাশন) পাশাপাশি একযোগে এক বা একাধিক সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকতে পারে, আবার কস্মিন কালেও কোন সংগঠনের ধাঁরে কাছে না ঘেঁষেও একটা জীবন যাপন করে যেতে পারে। কোন দিকেই এমন কোন ধরা-বাঁধা শর্ত নাই। যা যা হবার কথা ছিল, যা যা পাবার কথা ছিল তার সবকিছু যদি অক্ষরে অক্ষরে মিলেও যায়, সেই ‘অর্থ’ নিশ্চিত হবেই, এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। “বিশেষ মাত্রায় স্বার্থপর ও আমি কেন্দ্রিক” না হলে, ইন জেনারেল, মানুষ আসলে নিজের উর্ধ্বে উঠে অন্য মানুষের পাশে দাঁড়াতে চায়। যা আছে, যতটুকু আছে, তাই নিয়ে সে যতটুকু বোঝে, যেভাবে পারে – অন্যের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। দর্শন দিয়ে, জ্ঞান-বিদ্যা-বুদ্ধি দিয়ে, সৃজনশীলতা দিয়ে, পরামর্শ দিয়ে, সময় দিয়ে, শ্রম দিয়ে, অর্থকড়ি দিয়ে, প্রার্থণা দিয়ে মোদ্দা কথা যা আছে তাই দিয়ে, “সুস্থ-স্বাভাবিক” মানুষ শেষ মেশ অন্য মানুষের জন্য নিজেকে কাজে লাগাতে চায়, বিশেষ অর্থ যুক্ত করতে চায় এই নশ্বর জীবনে।
মানুষের জন্য করার এই ইচ্ছা পূরণ এবং এর পরিসর/পরিব্যপ্তি আরও সহজ, সুগম ও বিস্তৃত হয়, যখন সাথে আরও অনেকে একই উদ্দেশ্যে হাত ধরে হাঁটে। সংগঠন করার এটা হল একটা বিশেষ প্রাপ্তি। দল বেঁধে কাজ করা মানুষের আদিম প্রবণতার একটি। এক দল সাংগঠনিক রূপ দেয়, আবার কিছু মানুষ কোন ফর্মাল নাম-ধাম না দিয়েও দল বেঁধে সংগঠনের মতই কাজ করে যেতে পারে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক রূপ, সুস্পষ্ট গঠনতন্ত্র কেবল কর্মক্ষমতাই বাড়ায় না, এর দীর্ঘ স্থায়িত্বের সম্ভাবনাও তৈরি করে।
কিন্তু কেবল এই মহৎ লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বা সুনির্ধারিত কোন গঠনতন্ত্র একটা সংগঠন জিইয়ে রাখে, এমনটা আমার মনে হয় না। অবশ্যই এর সাংগঠনিক ব্যাপার-স্যাপার এর কাঠামোকে সচল রাখে। কিন্তু, সদস্যদের, বিশেষ করে এসোর মত একটা স্কুল-ফ্রেন্ডস-বেইজড সোনায়-সোহাগা সংগঠনের, সবচেয়ে বড় পাওয়া হল সঙ্গ, বলা ভালো, বন্ধু-সঙ্গ। ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনেও, এইরকম অলটাইম-রেডিমেইড সার্কেল একটা আলাদা জীবনীশক্তি যোগ করে। বন্ধুদের পারস্পরিক লেনদেনের এই উষ্ণ-প্রবাহ প্রকারান্তরে সংগঠনকে চাঙ্গা রাখে। এই ব্যস্ত বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত সময়ে “এসো” যেমন বন্ধুদের সাহচর্য দেয়, তেমনি একযোগে নিঃস্বার্থ কাজ করার একটা সহজ উপায়ও বাতলে দেয়, এবং এই সবার সম্মিলিত মানসিক শক্তিতেই সংগঠন বেঁচে থাকে।
জাগতিক কাজকম্ম, হিসাব নিকাশের বাইরে গিয়ে নিজের কথা ভুলে পরার্থে কাজ করাকে, সুক্ষ হিসাবে, আমার আসলে পরের জন্য করা মনে হয় না, মূলত নিজের জন্যই করা। আমার মতে, কোন মানুষই স্বার্থের বাইরে বেরোতে পারে না, তা তিনি যতই মহানুভব হোন না কেন। তফাতটা কেবল স্বার্থের প্রকার এবং প্রসারতা ভেদে। কেউ নিত্য জীবনে আটকে থাকে, কেউ কেউ সেই শিকল ভেঙ্গে মহা মহাসড়কের পথে হাঁটে; কেউ সৈকতের দৃষ্টি সীমায় ঝিনুক খোঁজে, কেউ কেউ বিক্ষুব্ধ মাঝ-সমুদ্রে নতুন কোন সৈকতের খোঁজে পাঞ্জা লড়ে। উদ্দেশ্য কিন্তু সবারই এক, নিজেকে তৃপ্ত করা। কারো স্বার্থ নেহায়েত নিজের ভাল-মন্দে আটকে যায়, কারো স্বার্থ সেই গণ্ডি পেরিয়ে অনেকের ভাল-মন্দের সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে যায়। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সবাই নিজ স্বার্থের পেছনেই দৌড়ায়।
সংগঠন আসলে ক্ষুদ্র স্বার্থ ছাপিয়ে নিজের ক্ষমতার চেয়েও ঢের বড় করে ভাববার, স্বপ্ন দেখার এবং তদানুযায়ী কাজ করার সাহস যোগায়, সুযোগ তৈরি করে। সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততা জীবনের প্রতি এবং নিজের প্রতি দৃষ্টি ভঙ্গিকে ইতিবাচক বা আরও বেশি ইতিবাচক করে তোলার সম্ভাবনা তৈরি করে।
সারিয়া মাহিমা
সদস্য, এসো
বড় স্বপ্নটা আগে জোর গলায় আরেক বার উচ্চারণ করি “সবার জন্য শিক্ষা এবং সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য আশ্রয়স্থল ও কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থাপনা” করবো, এর গতিশীলতা রিটায়ারমেন্টের আগেই দেখতে চাই, যাতে করে রিটায়ারমেন্টের পর আর পার্টটাইম সংগঠন না, ফুল টাইম মন-প্রাণ দিয়ে সংগঠনের কাজ করতে পারি। মৃত্যুর সময় যেন শান্তিতে মরতে পারি।
২০১৫ তে আমাদের এক বন্ধুকে সাহায্য করার জন্য আমরা প্রায় গোটা ত্রিশেক(?) বন্ধু একত্রিত হতে পেরেছিলাম। আমাদের প্রায় লাখ তিনেক টাকার ফান্ড উঠেছিলো। ঐ সময় আমরা বন্ধুরা ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে পরি। একদলের মত ছিল বিপদাপন্ন বন্ধুকে আমরা তার প্রয়োজনমতো মাসিক হারে সাহায্য করবো, এই ফান্ড থাক এবং আরো বাড়াতে থাকি যাতে অন্য কারো বিপদে আমরা সাহায্য করতে পারি। অন্য দলের মত ছিল মাসিক হারে কাজ করাটা কঠিন হতে পারে, এই ফান্ড যেহেতু ওই বন্ধুকে উপলক্ষ করে ওঠানো হয়েছে ওকেই দিয়ে দেয়া হোক। দুই মত সেদিন এক হতে পারেনি। তাই দুই মতকেই শ্রদ্ধা করে আমরা ফান্ডের এক অংশ বন্ধুকে দিলাম, আর বাকী অংশ ফান্ডে রেখে মাসিক হারে বন্ধুকে দেয়া অব্যাহত রাখলাম। সেই থেকে আমাদের সংগঠনের আনুষ্ঠানিক সূচনা।
আমরা অনেক সংশয় আর দ্বিধার ভিতর দিয়ে ১৫ জনের মতো বন্ধু শুরু করেছিলাম। আজ আমরা সেই সংশয় কাটিয়ে উঠতে পেরেছি৷ ২০১৬ এর পিকনিকে ১০০ জনকে লিস্ট করতে পেরেছিলাম। ২০১৮ তে পিকনিকের আগে আমরা ১৩১ জন বন্ধুর নাম লিস্ট করেছিলাম। ১ম এজিএমে উপস্থিত ছিলো ৬০ (?) জন বন্ধু। সেই ১৫ সালে ১৫ জন থেকে এখন আমরা সং গঠনে সদস্য হয়েছি ৫৯ জন (!)। আমাদের শেষ সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলো ৩০(?) জন। প্রতিমাসে এক্সিকিউটিভ মিটিং, প্রায়ই সময়ের দাবীতে প্রতিসপ্তাহে করতে কেউ পিছিয়ে নেই। আলহামদুলিল্লাহ।
আমাদের একটা ছোট্ট পরিসরে পারমানেন্ট অফিস হয়েছে। একটা টেম্পোরারি করপোরেট অফিস ব্যাকআপ আছে সাধারণ মিটিং অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য।
১৯৯৪ সালে আমরা যারা (১০১ জন) এসএসসি দিয়ে বের হয়ে যাই, ১৯৯৬ সালে যারা নতুন জয়েন করে, সেই সব অচেনা মুখও এখন আমাদের চেনা। এই যাবত আমাদের ৭ লাখ টাকা ফ্রিজ হয়েছে। দারুণ সম্ভাবনা।
সেই আলোকপাতে ২০২৫ এর মধ্যে সংগঠনকে যেভাবে দেখতে চাইঃ
১. আমরা সব বন্ধুরা এই সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত হবো ( নিয়ম সাপেক্ষে, বিভিন্ন পদে)
২. আমাদের অফিস প্রানবন্ত থাকবে সপ্তাহের প্রতিটি দিন।
৩. ঋতু, প্রিয়ন্তি আমাদের ভলান্টিয়ার লিডে চলে আসবে।
৪. স্টাইপেন্ড সিস্টেম আরো মজবুত ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় সফলভাবে চলবে, যেখান থেকে আমরা সাদিয়া, চৈতি, মৌ, লুবাবা, বন্যা, বর্ণ, আনিলা, নিলয়, যুবায়ের, তাওসিফ এমন ঝাকে ঝাকে নিবেদিত প্রান সদস্য পাবো।
৫. আমাদের সন্তানরা সক্রিয়ভাবে সংগঠনের জন্য কাজ শুরু করে দিবে।
৬. আমাদের নিজস্ব জমিতে একটা আধুনিক আবাসিক স্কুল, হাসপাতাল ও ট্রেইনিং সেন্টার স্থাপনার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হবে।
৭. বন্ধুদের জন্য কাউন্সিলিং সেশন নিয়মিতকরন করা হবে।
৮. বন্ধুদের জন্য স্বনির্ভর প্রকল্প জোরদার হবে।
৯. সংগঠনের স্বার্থে অন্যান্য সমাজকর্মী / সমাজ কল্যান মূলক সংগঠনের সাথে আমাদের লিয়াজো নিয়মিত হবে।
১০. দিন বদলের স্বপ্নে পাড়ায় পাড়ায় কমিউনিটি ক্লাব গঠনের পাইলট প্রোগ্রাম চালু হবে।
আমাদের বন্ধুদের মধ্যে সিদ্ধহস্ত গৃহিনী, সফল ব্যাবসায়ী, সমাজসেবী, রাজনীতিবিদ, ব্যাংকার, করপোরেট ডিলার, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, জাদরেল শিক্ষক, গুনী শিল্পি, ইঞ্জিনিয়ার,কেমিস্ট, রাইটার, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, ডাক্তার, এনজিও ডিরেক্টর, একাউন্ট অফিসার, সিনিয়র ট্রেইনার সব পেশার ডেডিকেটেড নারী আছে। এক নারী, আমি মনে করি, দুই পুরুষের সমান কাজ করে অনায়াসে।
আমাদের বাধা শুধু একটাই, আমাদের অবিশ্বাস, নেগেটিভ চিন্তা, যা আমাদের স্থবির করে দেয়। নিজেকে ভালোবাসি, নিজের শক্তির উৎস সেখানেই।
আমরা পারবোই। চোখ বন্ধ করে গভীরভাবে একবার শুধু স্বপ্নের পথটা স্পষ্ট করে দেখে নেই। সংঠনের শক্তি অনুভব করি।
ইনশাআল্লাহ ২০৩০ এর মধ্যে আমরা আমাদের স্থাপনা সম্পুর্ণ করে পুরো গতিতে সব শাখায় কাজ শুরু করে দিবো৷ সংকল্পবদ্ধ হওয়ার সময় এটা৷ মানুষ তার স্বপ্নের চাইতেও বড়।
আমীন।
সারিয়া নাফিয়া
সভাপতি, এসো
বন্ধু – এসো(ESO)
দায়িত্ববোধ, কিছুদিন যাবত এই তিনটি শব্দ মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু কি লিখব আর কিভাবে লিখবো ঠিকমতো গুছাতে পারছিলাম না…বন্ধুদের অনেকের লেখার হাত এতোই চমৎকার সত্যিই মুগ্ধ হয়ে যাই। সব কিছু ঝেড়ে ফেলে নিজের মত করে লেখা শুরু করে দিলাম।
“এসো”(ESO ) আমাদের সবার প্রশান্তির একটা জায়গা, যেখানে সবাই মিলে হাতে হাত ধরে সারাজীবন হাটব , সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নেব, প্রাণ খুলে হাসব, মন খুলে কথা বলবো, সবার মেধা ও চিন্তা শক্তি দিয়ে ভবিষ্যত স্বপ্নে বিভোর হবো ।
আচ্ছা আমরা কি “এসো”( ESO) কে আমাদের একটি সন্তান এর মতো করে দেখতে পারি ?? যার জন্য প্রতিদিন একটু সময় দিব, প্রতিদিনের একটু একটু ভাবনাকে সমন্বিত করে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প করবো। ভাবতেই নস্টালজিক হয়ে যাই, ভালোলাগা কাজ করে, আমরা সবাই ছোট্টবেলার বন্ধুরা আজও একত্রিত হয়ে স্বপ্নের জাল বুনছি, আলহামদুলিললাহ। আমরা সপ্ন দেখছি, ভবিষ্যতে সেই সপ্নের বাস্তবায়ন করবে আমাদেরই সন্তানরা।
২০২৫-৩০ সালে “এসো”কে ঘিরে আমার সপ্নের কথা তোমাদের সাথে শেয়ার করছি।
১. সংগঠনটি শুরু থেকেই শিক্ষার উপর বিশেষ জোর দিয়ে আসছে, সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায় শিশুদের শিক্ষার সুযোগ করে দেয়ার চেষ্টা থাকবে সর্বাগ্রে।
২. দ্বিতীয়ত, শিশু বিকাশ কেন্দ্র। যেখানে শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য সব রকম সুযোগ থাকবে (যা থেকে আমাদের শিশুরা বঞ্চিত)।
৩. তৃতীয়ত, বৃদ্ধাশ্রম। ঘন সবুজে ঘেরা, পাখির কলকাকলীতে মুখরিত থাকবে সবসময়ই। সর্বোপরি স্বস্তির নিঃশ্বাস নেয়ার একটা জায়গা।
আগামী ১৪ই মে আমাদের সংগঠনের ১০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, পরম শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাচ্ছি এবং এসো( ESO) পরিবারের সফলতা কামনা করছি। বন্ধুরা “সবাই ভিন্ন একসাথে অনন্য”।
ধন্যবাদ,
রোকেয়া সুলতানা লিমা
সাধারণ সম্পাদক
এসো (ESO)
২০২৫ সালে আমার দেখা এসো (ESO)
** অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বনির্ভর হবার দ্বারপ্রান্তে বসে আছে।
** সকল আত্মনির্ভর বন্ধু (এস এস সি ৯৪ – ৯৬ব্যাচ )দের সক্রিয় (অর্থ, মেধা,শ্রম, ভালবাসা সহ) ও নির্ভরশীল বন্ধুদের আত্মিক (মেধা, শ্রম ও ভালোবাসা সহ) অংশগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
** ১০০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা ভাতা দিচ্ছে।
** দক্ষ জনশক্তি গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে কারিগরি ভাতা প্রদানের মাধ্যমে।
** অর্ফানেজ বা সমমানের অসহায়দের জন্য আবাসন প্রক্রিয়ার কাজ শুরু।
** সকল কাজের স্বচ্ছতা সাফল্যের সাথে মনিটর করছে কার্যকরী পরিষদ।
“এসো (ESO) এর দশ বছর পূর্তিতে সবাইকে জানাই প্রানঢালা ভালোবাসা ও অভিনন্দন।
রুমানা জামান
সহ সভাপতি, এসো
এসো – স্বপ্ন
নাসরিন আক্তার
এডুকেশন এন্ড সলিডারিটি অর্গানাইজেশন- এসো’র লক্ষ্য এবং উদেশ্য হচ্ছে সার্বজনীন শিক্ষা এবং সুবিধা বঞ্চিতদের ক্ষমতায়ন। বেশ কিছু প্রকল্প নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা আছে এসো’র। আমরা এখন শিক্ষা প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি, শিক্ষার আলোয় সবাইকে আলোকিত করাই বর্তমানে আমাদের প্রধান কাজ। আমি ভাবছি আমদের রিতু আর শেফালি কে নিয়ে। রিতু আমাদের শিক্ষা ভাতার আওতায় সুবিধা প্রাপ্ত ছাত্রী, এবার এইচ এস সি দিবে, পরীক্ষায় পাস করবে আশা করছি। তারপর আমরা কি ওকে আরো পড়াবো? ধরে নিচ্ছি আর পড়াবো না, ওকে ওর পরিবার বিয়ে দিয়ে দিবে তারপর ওর সন্তান হবে, সেই সন্তান কে পড়ানোর ক্ষমতা ওর যদি না থাকে। ও তখন কি করবে, শেফালির মতো দ্বারে দ্বারে ঘুরবে ওর সন্তান কে পড়ানোর জন্য। শেফালী আমাদের হোমসের ছোট বোন। সন্তান কে পড়ানোর ক্ষমতা ওর নেই। তাই সবার কাছে অনুরোধ করছে, কেউ যদি দয়া করে ওর মেয়ে কে পড়ানোর খরচ বহন করে, তবেই মেয়েটার পড়শুনা হবে, নয়তো হবে না। ইতোমধ্যে ২০১০-২০১১ থেকে পড়ানো বাচ্চারা কে, কোথায় আছে, কি করছে আমরা তার কিছুই জানিনা। এবার আসি রিতু কে আমরা আরো পড়াবো। ও মেডিকেল, বুয়েট, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অথবা ভালো কোথাও চান্স পেলো না। পড়বে হয়তো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বা অন্য কোন মাধ্যমে। পড়া শেষে চাকুরির জন্য হন্য হয়ে ছুটবে, চাকুরি পাবে না। চাকুরি পাবেনা নিশ্চিত করে বলা যায় না, তবে অবস্থা যদি তেমন হয়, তখন ওর মাঝে ফ্রাস্ট্রেশন কাজ করবে। ও ভেংগে পরবে, তার মানে কিন্ত আমাদের স্বপ্ন পূরণ হলো না। উপরের দুই ক্ষেত্রেই আমরা শিক্ষার আলো জ্বালাতে পারিনি। আর যদি রিতু ভালো চাকুরি করে ওর জীবন সম্পুর্ন পাল্টে যাবে, সাথে সাথে ওর পারিপার্শ্বিক অবস্থাও বদলে যাবে। তখন ও ওর সন্তান, ওর মায়ের বাড়ির, শ্বশুরবাড়ির, আত্বীয় স্বজন সবাই কে সুশিক্ষিত করার চেষ্টা করবে। হয়তোবা আমাদের মতো কাজ করতেও উৎসাহ পাবে। আর তখনই আমাদের স্বার্থকতা। এই সব বিচারে আমাদের এই শিক্ষা প্রকল্প হতে হবে দীর্ঘমেয়াদি, যদি আমরা পরিবর্তন আনতে চাই। শিক্ষা প্রকল্প কে দীর্ঘ মেয়াদি করতে হলে আয়ের উৎস বাড়াতে হবে, বিকল্প চিন্তা করতে হবে।
এবার আসা যাক আমাদের বন্ধুদের ক্ষেত্রে। আমাদের অনেক বন্ধু আছে, যারা অনেক যোগ্যাতা থাকা সত্বেও ঘরে বসে আছে। অথবা কেউ কেউ আছে স্বচ্ছল ভাবে চলতে কষ্ট হয়। কিন্তু চক্ষু লজ্জায় কারো সাথে শেয়ার করে না। সে সব বন্ধুদের পাশে আমরা দাঁড়াতে চাই, কিন্তু কিভাবে?
,
,
,
,
,
আমার স্বপ্ন অনেক বড় ,,,,,,,,,, !!!!
আমাদের একটা আবাসিক স্কুল হবে, হবে একটা শান্তি নিবাস, সাথে একটা পূর্নাঙ্গ মেটার্নিটি সেন্টার। সেই স্কুলের টিচার হবে আমাদের বন্ধুরা এবং আমাদের শিক্ষা প্রকল্পের মেয়েরা, সেই মেটার্নিটি হবে দেশ সেরা। সেই হোম হবে আন্তর্জাতিক মানের, স্কুলের টিচার থেকে শুরু করে আমরা সবাই যেন সেটায় থাকতে পারি। আমাদের প্রিয় জ্যাঠামনি আরো কয়েক যুগ আগে একাই যদি এত্তো বড় হোমস, হাসপাতাল, কলেজ সহ আরো অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারেন, সুদূর জাপান থেকে এসে এক মমতাময়ী নারী যদি মানবতার সেবায় এঞ্জেল অ্যাসোসিয়েশন এর মতো ফাউন্ডেশন গড়তে পারেন, তবে আমরা কেন এত্তো জন বন্ধু এক সাথে হয়ে পারবো না বড় কিছু করতে? আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি আমরা বন্ধুরা, একটু ভাবোতো এই বয়সে এসে প্রায় ৫৯ জন বন্ধু মানুষের কল্যানের কথা ভাবছি, মানবতার কথা ভাবছি। এটা সচরাচর দেখা যায় না, এমনটি ভাবছি কারণ আমরা যে আত্মার আত্মীয়। আমাদের শৈশব কেটেছে এক সাথে, পড়াশোনা, খাওয়া দাওয়া, ঘুমাতে যাওয়া সব কিছু করেছি এক সাথে। সেই আমরা তারুণ্য পিছনে ফেলে, যৌবন শেষে বার্ধক্যে এসে পৌছেছি। এখন তো আমরা এক সাথে স্বপ্ন দেখতেই পারি,,,এক সাথে দেখা সেই স্বপ্ন পূরন ও করতে পারি ইনশাআল্লাহ। পাঁচ বছর পরে এসো’র নিজস্ব একটি আবাসিক স্কুল ভবন থাকবে, সেই লক্ষ্যে ২০২০ সালের মধ্যে একটা জায়গা কিনতে হবে। ২০২১ সালে সেখানে কন্সট্রাকশনের কাজ শুরু হবে, ২০২১-২০২৩ এই তিন বছরে কাজ শেষ হবে। ২০২৪ এর শুরুতে আমদের ভবনের কার্যক্রম স্বল্প পরিসরে শুরু হবে। আমাদের বন্ধুরা এবং আমাদের শিক্ষা প্রকল্পের ছাত্রীরা হবে সেই স্কুলের গর্বিত শিক্ষক, সেই সাথে শুরু হবে মেটার্নিটি সেবা, ২০২৫ সালের শুরুতেই আমাদের শান্তি নিবাস এর শুভ সূচনা হবে ইনশাআল্লাহ। এ লক্ষ্যে কাজ করতে পারলে কয়েক শ লোকের কর্মসংস্থান হবে। আমাদের ডেভেলপমেন্ট / এডভান্সমেন্ট প্রকল্পের সাথে সাথে আমাদের হোপ প্রকল্প/ স্বনির্ভর/ কর্মসংস্থান প্রকল্পের ও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। সেই জন্য চাই পর্যাপ্ত অর্থায়ন, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, সদইচ্ছা, সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা, কাজের প্রতি ভালোবাসা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, বিশ্বাস এবং সর্বোপরি সব বন্ধুদের অংশগ্রহণ। আজ এখন এই মূহুর্ত থেকেই আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করতে হবে। আমি অংগীকার করছি আমার শতভাগ দিয়ে স্বপ্ন পূরনের চেষ্টা করে যাবো।
নাসরিন আক্তার
কোষাধ্যক্ষ, এসো
২০২৫ এ এসো’কে নিয়ে আমার ভাবনা।
হোমস থেকে চলে আসলেও মনের ভেতর ৯৪’ ব্যাচের মেয়েদের একটা অদৃশ্য যোগসূত্র কোথায় যেন থেকেই গিয়েছিল।তা না হলে আমাদের জীবদ্দশায় ফেসবুক নামের এই অমূল্য রতন টি এই এত বছর পর সেই যোগের সূত্র হয়ে আমাদের জীবনে কেন আসবে? আর কেনইবা আমরা আমাদের বালখিল্য কে ফিরিয়ে আনার প্রয়াস পাই বারেবারে?এই একত্রিত হওয়াটাই তো ‘এসো’র পথের শুরু। যে কোনো স্বপ্ন কে বাস্তবে রূপদান করতে হলে সর্বপ্রথম তার শুরুটা জরুরি। শুরু না করলে কোনো স্বপ্নই বাস্তবরূপ পায়না। ২০১০ এর ১৪ই মে এর যাত্রা শুরু হয় বিনা আড়ম্বরে, নীরবে। সেই স্বপ্ন এখন কৈশোর বেলা পার করছে। সে এখন দূরন্ত। বন্ধুদের অংশগ্রহণ, পরামর্শদান বাড়ছে। সমৃদ্ধ হচ্ছে ‘এসো’। স্বপ্ন বাস্তবায়নে শুরু টা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এর লক্ষ্য অর্জনের জন্য দরকার সুনিদিষ্ট পরিকল্পনা ।
‘এসো’ তার পরিকল্পনার পথ ধরে এগোচ্ছে। খুব কাছে থেকে সংগঠনের কাজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমি এখন অনুভব করি আত্মিক বন্ধন। আমার সন্তানের মতোই সর্বক্ষণ এর মঙ্গল কামনা করি। আর একদিন পরেই ১৪ই মে। এসো’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। মনে মনে অনেক পরিকল্পনা থাকলেও করোনা মহামারী থমকে দিয়েছে সব। তাই বলে এসো’র দশ বছরে পদার্পণ কি আমরা নিরস ভাবে পার করব?মোটেই না। কিছু না কিছু তো করবই। সেই কিছুরই অংশ হিসেবে আমি ২০২৫ এ এসো কে নিয়ে কি স্বপ্ন দেখি তার একটা প্রয়াস নিব।২০২৫ এ এসো’র ১৫ বছর হবে। ততদিনে কিছু অর্জন তো আমাদের নিশ্চয়ই হবে। আমি আমার স্বপ্নগুলো বলি:-
# ততদিনে ‘এসো’ একটি রেজিষ্টার্ড এবং অনেক সংগঠনের ভীড়ে একটি সুপরিচিত একটি সংগঠন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবে।
#’এসো’র নিজস্ব ভূমির উপর নিজেদের প্রতিষ্ঠান।
# একটি প্লে বেসড আবাসিক স্কুল হবে। যেখানে বাচ্চাদের খেলার ছলে হাতেকলমে শিক্ষাদান পদ্ধতি চালু থাকবে।
# একটি শান্তি নিবাস হবে যেখানে আমরা বন্ধুরা বয়সের একটা পর্যায়ে হোমসের মতো একসাথে থাকবো।এছাড়াও এখানে অসহায় বৃদ্ধাদের থাকার ব্যবস্থা থাকবে।
# শিক্ষাভাতার অনুকূলে সুবিধাবঞ্চিত যেসব ছাত্র-ছাত্রীএখন আমাদের স্টাইপেন্ড গ্রহণ করছে, তাদের মধ্যে যারা ততদিনে একটা পর্যায়ে চলে আসবে তারা আমাদের উত্তরসূরি হিসেবে সংগঠনের সক্রিয় সদস্য হিসেবে নতুন নতুন আইডিয়া দিয়ে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
পাঁচ বছর খুব বেশি সময় নয়। কিন্তু স্বপ্ন দেখতে দোষ কি? আমরা অনেকেই মনে করি স্বপ্ন মানেই নিছক কল্পনা মাত্র। কিন্তু আসলে তা নয়। স্বপ্ন মানেই বাস্তব, স্বপ্ন মানেই গন্তব্য। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি। একাগ্র ভাবে কাজ করার মাঝে একটা দারুণ জাদুকরী শক্তি আছে। আমাদের সেই একাগ্রতাটাই দরকার। এসো সবাই একত্রিত হয়ে একাগ্রতা নিয়ে এসো ‘ কে এগিয়ে নিয়ে যাই।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এসো’র জন্য প্রাণঢালা শুভকামনা। স্বপ্নপূরণের পথে একজন অংশীদার হিসেবে তোমার পথ মসৃণ করতে সবসময় পাশে থাকবো। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই আমার অঙ্গীকার।
ফরিদা ইয়াসমিন,
সদস্য,
কার্যকরী পরিষদ, এসো
আসসালামু আলাইকুম।
এসো জন্ম ১০ সালের ১৪ই মে নীরবে বললে ভুল হয়না। আস্তে আস্তে ৫ কান ১০ কান হতে হতে আজ অবধি ৮৭ থেকে ৯৬ প্রায় সকল বান্ধবীর সমন্বয়ে ” “এসো” এখন গোছানো ও পরিপূর্ণ। ২০ সালে বসে ভেবেছিলাম বাংলাদেশের নামকরা অনেক বড় বড় টিভি চ্যানেল গুলোতে সংবাদ শুরু করার আগে সংবাদ পাঠিকা বলেন এবি ব্যাংক সংবাদ শিরোনাম “এসো” সংবাদ শিরোনাম কেন নয়?
বড় রাস্তা ধরে কিছু দূর যাবার পরে বায়ে মোর ঘুরে একটু গেলেই ফলকে বড় বড় করে লেখা ” শান্তি নিবাস ” প্রধান ফটক থেকে ভিতরে ঢুকতেই পিচঢালা রাস্তার দুইপাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে নারিকেল, সুপারি,তাল তমালের সারি। প্রথমেই চোখে পরে ডাক্তার আপার হাসপাতাল। যেখানে পুরো চিকিৎসা বিনামূল্যে করা হয় ১ টাকা মূল্যর টিকিট বিক্রি করা হয়। হাসপাতালের পাশে ফুলের বাগান, জানা- অজানা নানা রকম ফল ও ভেষজ গাছ। কিছুদূর গিয়ে চোখে পরে” মা রেখার” নাচের স্কুল। নাচের পাশাপাশি ইওগা ও মেডিটেশন করা হয়। পাশেই শান বাঁধনো পুকুর। পুকুরের চারপাশে কৃষ্ণচূড়া ও রাধাচূড়ার গাছ। স্কুলের সাথেই খেলার মাঠ। শ্রেণিকক্ষের জানালা দিয়ে মাঠ, পাখি, ফুলের বাগান সবটাই চোখে পরে। ” এসো” র এখন নিজস্ব ডেয়ারি ফার্ম, হাঁস-মুরগির খামার, সাথে আছে ফসলের জমি যেখানে ধান, গম, শাক- সব্জির চাষ হয়। পুকুরে মাছ চাষ হয়। মনোরম দৃশ্য মন- প্রাণ জুরিয়ে যায়। এবার আসি শান্তি নিবাস এর কথায়। বৃদ্ধাশ্রম শব্দটি যেখানে প্রশ্নবিদ্ধ সেখানে ” এসো” র ” শান্তি নিবাস” একটি বিরল দৃষ্টান্ত। শান্তি নিবাস এ যারা থাকেন তারা অপরের বোঝা হয়ে বা গলগ্রহ হয়ে বা সমাজের বাতিল হিসাবে কেও আসেন না। যারা শান্তি নিবাসে থাকেন তারা সবাই সেচ্ছায় নিজের আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্যেই থাকেন। একবার কেও আসলে ফিরে যাবার কথা কেও ভাবেনা। ” এসো” ছিমছাম, পরিপাটি সাজানো – গোছানো ছবির মতো সুন্দর। এটা সম্ভব হয়েছে প্রত্যেকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়। দেশে, বিদেশে, ডোনারসহ যে যেখানে আছে সবার প্রচেষ্টার ফলে আজ ” এসো” এখানে এসে দাঁড়িয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো পৃথিবী জুড়েই আজ ” এসো” র জয়ধ্বনি। আর হ্যাঁ “এসো” র সাক্ষাৎকার নিতে এখন প্রায়শঃই সাংবাদিক রা ” এসো” তে আসেন। সংবাদ পড়ার সময় বলা হয়” এসো সংবাদ ” শিরোনাম।
“এসো” র পাশে আছি।
মৃত্যু “এসো” র পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
“এসো” র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো।
নাজমা খান জুথী
সদস্য,
কার্যকরী পরিষদ, এসো
১# গনতান্ত্রিক।
২# প্রত্যেকে প্রত্যেকের প্রতি, শ্রদ্ধাশীল।
৩# নিঃসংকোচে মতামত প্রদানের প্লাটফর্ম।
৪# বন্ধুদের সমস্যা যেকোন মূল্যে সমাধান হবে, সেই নির্ভরতা।
৫# স্টেপ বাই স্টেপ, টেকসই কার্যক্রম পরিচালনা করা।
৬# রোল মডেল হয়ে উঠা।
৭# সার্বজনীন ও আমিত্ব হীন, আস্থার প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া।
রাহে মদিনা কারী
সদস্য
কার্যকরী পরিষদ, এসো
ভারতেশ্বরী হোমস একটি অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে যারা পড়াশোনা করে তাদের বিকশিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা হয়।
আমরা যারা এই বিখ্যাত বিদ্যাপীঠ থেকে ১৯৯৪/৯৬ এ পাশ করে বের হই তাদের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে Education & Solidarity Organization – ESO , এর মাধ্যমে শুরু থেকেই আমরা ভারতেশ্বরী হোমসে পাঠরত ছাত্রীদের শিক্ষা ভাতা প্রদান, বিপদগ্রস্ত সহপাঠীদের সহায়তা প্রদান করে আসছি। স্বপ্ন দেখি ভবিষ্যতে আমরা নানা প্রকার সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে “এসো” র কার্যক্রম ছড়িয়ে দিব।
আমাকে অসত্য থেকে সত্যে নিয়ে যাও, আমাকে অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে যাও… এই প্রার্থণা এই উপলব্ধি আমাদের মিলাবে প্রাণের আনন্দে সবাইকে।
অপর্ণা দত্ত
সদস্য
কার্যকরী পরিষদ, এসো